alcet 5 mg মূলত ঠাণ্ডা বা অ্যালার্জির ঔষধ হিসাবে খাওয়া হয়ে থাকে। এতে রয়েছে লিভেসেটিরিজিন ডাইহাইড্রোক্লোরাইড যা এন্টি হিস্টামিন জাতীয় ঔষধ। সিজনাল এলার্জিক রাইনাইটিস, পেরিনিয়াল এলার্জিক রাইনাইটিস ও ক্রনিক ইডিওপ্যাথিক আর্টিক্যারিয়ার ঔষধ হিসাবে চিকিৎসক প্রেস্ক্রাইব করে থাকেন।
Alcet 5 mg খাওয়ার নিয়ম
পূর্ণবয়স্ক এবং ১২ বছরের অধিক বয়স্ক শিশু: নির্দেশিত মাত্রা হলো ৫ মি.গ্রা. দিনে একবার।
৬ থেকে ১১ বছর বয়স্ক শিশু: নির্দেশিত মাত্রা হলো ২.৫ মি.গ্রা. (১/২ ট্যাবলেট অথবা ১ টেবিল চামচ ওরাল সল্যুশন) দিনে একবার।
৬ মাস থেকে ৫ বছর বয়স্ক শিশু: নির্দেশিত মাত্রা হলো ১.২৫ মি.গ্রা (১/২ টেবিল চামচ ওরাল সল্যুশন) দিনে একবার।
বাচ্চাদের ক্ষেত্রে: ক্লিনিক্যাল গবেষণায় প্রতিটি অনুমােদিত লক্ষণের ক্ষেত্রে ৬৫ বছর বয়স্ক এবং তার অধিক বয়সের রােগীদের সংখ্যা পর্যাপ্ত পরিমাণে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি যার দ্বারা নির্ধারিত হয় যে তারা প্রাপ্ত বয়স্কদের থেকে ভিন্ন ভাবে প্রতিক্রিয়া প্রদর্শন করবে কিনা।
শিশুদের ক্ষেত্রে: ১৮ বছর বয়স এবং তার অধিক বয়সের কার্যক্ষমতা ভিত্তিক বহির্পাতনের উপর ভিত্তি করে, ৬ মাস বয়স থেকে ১৭ বছর বয়সের রােগীদের ক্রনিক ইডিওপ্যাথিক আর্টিক্যারিয়ার সহজ ত্বক উদ্ভাস উপসর্গের চিকিৎসায় মাত্রা নির্দেশিত হয়ে থাকে।
Alcet 5 mg খাওয়ার ক্ষতিকর দিক
১. ঘুমজনিত সমস্যা ও ক্লান্তি
এলসেট সেবনের পর অতিরিক্ত ক্লান্তি, ঘুমভাব, বা অবসাদ হতে পারে।
কাজের সময় বা গাড়ি চালানোর সময় ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।
২. মাথাব্যথা বা মাথা ঘোরা
অনেকের ক্ষেত্রে মাথাব্যথা বা মাথা ঘোরার মতো সমস্যা দেখা দেয়।
৩. পেটের সমস্যা
বমি বমি ভাব, ডায়রিয়া বা কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে।
দীর্ঘমেয়াদে লিভারের ওপর চাপ ফেলতে পারে।
৪. খিটখিটে মেজাজ বা উদ্বেগ
ওষুধটি কিছু মানুষের মস্তিষ্কের কার্যকলাপে প্রভাব ফেলে, যার ফলে খিটখিটে মেজাজ বা উদ্বেগ দেখা দিতে পারে।
৫. অতিরিক্ত ঘুম এবং মানসিক মনোযোগের অভাব
এটি মনোযোগে ঘাটতি আনতে পারে, বিশেষ করে যারা পড়াশোনা বা মানসিক কাজ করেন তাদের জন্য।
৬. ওজন বৃদ্ধি
লম্বা সময় ধরে ব্যবহার করলে ওজন বেড়ে যেতে পারে।
৭. কিডনি বা লিভারের সমস্যা
দীর্ঘমেয়াদে ব্যবহারের ফলে কিডনি বা লিভারে চাপ সৃষ্টি হতে পারে, বিশেষ করে যাদের কিডনি বা লিভার দুর্বল।
৮. অ্যালার্জিক রিঅ্যাকশন
যদিও এটি এলার্জি কমায়, তবে ওষুধের প্রতি অতিসংবেদনশীল ব্যক্তিরা ফুসকুড়ি, শ্বাসকষ্ট, বা অ্যালার্জির অন্য লক্ষণ অনুভব করতে পারেন।
কখন সতর্ক থাকবেন?
1. গর্ভাবস্থা বা স্তন্যদানের সময়:
গর্ভবতী বা সন্তানকে দুধ খাওয়ানো মায়েদের এটি ব্যবহারের আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
2. বাচ্চাদের ক্ষেত্রে:
শিশুদের জন্য এলসেট ব্যবহারে সাবধানতা প্রয়োজন।
3. কিডনি রোগীদের ক্ষেত্রে:
কিডনি সমস্যায় ভুগছেন এমন ব্যক্তিদের জন্য ডোজ নিয়ন্ত্রণ জরুরি।
প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা
1. চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া এলসেট দীর্ঘদিন ব্যবহার করবেন না।
2. যদি কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়, ওষুধ সেবন বন্ধ করে চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করুন।
3. দৈনিক নির্ধারিত ডোজের বেশি খাবেন না।
সঠিক ব্যবহারে এটি এলার্জি বা শ্বাসকষ্টের উপসর্গ কমাতে কার্যকর, তবে দীর্ঘমেয়াদে বা অসতর্ক ব্যবহারে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে।