আপনি জেনে অবাক হবেন আমাদের সকলের রক্তে এলার্জি থাকে তবে সবার ক্ষেত্রে লক্ষণ দেখা যায় না। আজকে আমরা রক্তের এলার্জি দূর করার উপায় সম্পর্কে জেনে নেব। এলার্জি শব্দ টি অনেক কমন একটি জিনিস। এলার্জি বিশেষ বিশেষ কোনো খাবার থেকেও হতে পারে। এলার্জি কোন এক বা একাধিক বিশেষ খাবার থেকে হতে পারে। রক্তের গ্রুপ ভেদা – ভেদে আলাদা অনুভূত হয়। যেমন বি গ্রুপ রক্ত এর এ গ্রুপের ক্ষেত্রে নাও দেখা দিতে পারে এলার্জি।
রক্তে এলার্জি ইসিনোফিল এবং অন্যান্য রক্ত কোষ তথা- লোহিত, স্বেত রক্ত কণিকার মতো অস্থি মজ্জা থেকেও উৎপন্ন হয়। ইসিনোফিল ব্যাকটেরিয়া ও অন্যান্য জীবাণু কিংবা পর জীবি দের মেরে ফেলে। এরা সাইটো টক্সিক অণু, সাইটো কাইনেজ নিঃসরণের মাধ্যমে এ কাজটি করে থাকে।
রক্তের এলার্জি দূর করার উপায়
ঘরের মধ্যে ঘরে জমা ধুলো বালি পরিষ্কার করছেন হঠাৎ করে হাঁচি শুরু হলো এবং পরে শ্বাসকষ্ট হচ্ছে কিংবা ফুলের গন্ধ নিচ্ছেন বা গরুর মাংস খাচ্ছেন , চিংড়ি মাছ খাচ্ছেন , ইলিশ মাছ ও গরুর দুধ খাচ্ছেন হঠাৎ ই শুরু হলো গা চুলকানি অথবা চামড়ায় লাল লাল চাকা বর্ণ হয়ে ফুলে উঠেছে, এগুলো হলেই ধরে নিতে হবে যে আপনার এলার্জি রয়েছে।
রক্তে এলার্জি কমানোর উপায় হলো যে কারণে আপনার এলার্জি হচ্ছে সেই কারণ গুলো শনাক্ত করে তা থেকে এড়িয়ে চলা। রক্তে এলার্জি কমানোর জন্য এলার্জি হতে পারে এমন জিনিস থেকে এড়িয়ে চলা এবং ওষুধ খাওয়ার পাশাপাশি এলার্জি এর ভ্যাকসিন ও এলার্জি জনিত রোগীদের সুস্থ থাকার জন্য অন্যতম চিকিৎসা পদ্ধতি।
এ পদ্ধতি ব্যাবহারের ফলে কর্টিকোষ্টেরয়েডের ব্যাবহার অনেকটা কমে যায়। যার ফলে কর্টিকোষ্টেরয়েডের অনেক পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। বিশ্বের অধিকাংশ দেশ এ, বিশেষ করে উন্নত দেশ গুলো তে এ পদ্ধতিতেই চিকিৎসা দেয়া হয়। বর্তমান এ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও এই ভ্যাকসিন পদ্ধতি এর চিকিৎসাকে রক্তে এলার্জি জনিত রোগিদের দীর্ঘ মেয়াদি সুস্থ থাকার একটি মাত্র চিকিৎসা পদ্ধতি বলে আক্ষায়িত করেছে।
এলার্জির ঔষধ খাওয়ার নিয়ম
এলার্জি ভেদে ওষুধ প্রয়োগ করে এলার্জি থেকে অনেকটা রেহাই পাওয়া যায়। এলার্জি তে যেহেতু শরীর থেকে হিস্টামিন প্রচুর রিলিজ হয় তাই এলার্জি নিয়ন্ত্রণ রাখতে হলে আমাদের হিষ্টামিন কে নিয়ন্ত্রণ রাখতে হবে। সেই জন্য অ্যালার্জিক কন্ডিশনে অ্যান্টি – হিস্টামিন হলো এলার্জির মূল চিকিৎসা বলা যায়।
আরও পড়ুনঃ কাশি দূর করার উপায় ১০টি
এলার্জি সুনির্দিষ্ট ভাবে ডেস্লরাটাডিন কার্য করীতা রোধকারী একটি এন্টি – হিস্টামিন। মুখে খাওয়ার পর এটি খুব কম সময়ে পরি শোষিত হয় এবং ২ থেক ৩ ঘন্টার মধ্যে সর্বোচ্চ প্লাজমা ঘনত্ব এ পৌঁছে যায়। দৃশ্যত, এটি ব্লাড ব্রেইন বেরিয়ার অতিক্রম করেনা। অ্যালাট্রল কিংবা সেটিরিজিন প্রতি দিন রাতে একটা করে খেতে পারেন। তবে আমি সাজেস্ট করবো চিকিৎসক এর পরামর্শ গ্রহণ করেই এগুলো খাবেন।
রক্তে এলার্জি থাকলে কি কি খাওয়া যাবে না
এলার্জির কারণকে হাইপার সেনসিটিভিটি বলা হয়। এবার দেখে নেয়া যাক রক্তের কোন গ্রুপে কোন খাদ্য অ্যালার্জি সৃষ্টি করে :
রক্তের গ্রুপ ‘ও’
এই গ্রুপের মানুষের ক্ষেত্রে রাজহাঁস, মাগুর মাছ, শিং মাছ, চীনাবাদাম, কাজুবাদাম, পোস্তদানা, অ্যাভাকাডো, বাঁধাকপি, ফুলকপি, জলপাই, লাল আলু, বেগুন, আইসক্রিম, দুধ, দই, নারকেল, তেতুল, স্ট্রবেরি ও আপেল ইত্যাদি খাদ্যদ্রব্য অ্যালার্জি বাড়াতে পারে। অতএব এসব খাদ্য গ্রহণের ক্ষেত্রে সাবধান থাকুন।
রক্তের গ্রুপ ‘এ’
যাদের রক্তের গ্রুপ ‘এ’ তাদের শরীরে অ্যালার্জির কারণ হতে পারে- হাঁসের মাংস, গরুর মাংস, কোয়েল পাখি, মাগুর মাছ, ডিম, সামুদ্রিক মাছ, মাখন, ঘন দুধ, পেস্তাবাদাম, কাজুবাদাম, মিষ্টি আলু, বেগুন, জলপাই, কমলা, পেঁপে, আম, টমেটো ইত্যাদি খাদ্যগুলো। দেখে-বুঝে তারপরে খাবার গ্রহণ করুন।
রক্তের গ্রুপ ‘বি’
হাঁসের মাংস, কোয়েল পাখি, কাঁকড়া, চিংড়ি, ব্লু চিজ, ভুট্টা, চীনাবাদাম, পেস্তাবাদাম, জলপাই, কুমড়া, টমেটো, আইসক্রিম, দুধ, দই, নারিকেল, ডালিম, কামরাঙ্গা ও টমেটো ইত্যাদি খাদ্যদ্রব্য যাদের রক্তের গ্রুপ ‘বি’ তাদের ক্ষেত্রে অ্যালার্জির সমস্যা দেখা দিতে পারে।
রক্তের গ্রুপ ‘এবি’
যারা রক্তের ‘এবি’ গ্রুপ ধারণ করেন তাদের ক্ষেত্রে হাঁসের মাংস, গরুর মাংস, কোয়েল পাখি, কাঁকড়া, চিংড়ি, লবস্টার, পারমিজান, ব্লু চিজ, ভুট্টা, তিলের তেল, পোস্তদানা, সূর্যমুখীর বীজ, কুমড়া বীজ, আইসক্রিম, জলপাই, মূলা, কলা, পেয়ারা, নারিকেল, কমলা, ডালিম এবং কামরাঙ্গা এসব খাবারগুলো থেকে সাবধান থাকতে হবে। কারণ এ খাবারগুলো আপনার শরীরে অ্যালার্জি সৃষ্টি করতে পারে।
[…] নিলেই হবে। যাদের মধুতে অ্যালার্জি নেই, তারা সামান্য মধুও মিশিয়ে নিতে […]
[…] উপরের ব্লগটি পড়ে নিশ্চয়ই আপনি ফেক্সো ১২০ সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা পেয়েছেন। রক্তের অ্যালার্জি সম্পর্কে ধারণা পেতে নিচের ব্লগটি পড়তে পারেন। Click here. […]
[…] চিকিৎসায় প্রধানত অ্যান্টিহিস্টামিন জাতীয় ঔষধ ব্যবহার করা হয়। এগুলো […]