সাধারণত মাসিক ২৮ দিনের হয় (তবে এটা ব্যক্তিভেদে ভিন্ন হতে পারে)। মাসিক চক্রের মাঝামাঝি সময়ে (যেমন ১০-১৬ দিনের মধ্যে, যদি চক্র ২৮ দিনের হয়) সাধারণত ডিম্বস্ফুরণ (ovulation) ঘটে। এই সময়ে মিলন করলে গর্ভধারণের সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। ডিম্বস্ফুরণের কিছুদিন আগে বা পরেও সম্ভাবনা থাকে, কারণ শুক্রাণু কয়েকদিন জীবিত থাকতে পারে।
মাসিকের কত দিন পর সহবাস করলে গর্ভবতী হয় না চার্ট
চক্রের দিন | গর্ভধারণের সম্ভাবনা |
---|---|
১ম – ৭ম দিন | কম (নিরাপদ) |
৮ম – ১৮তম দিন | বেশি (অসুরক্ষিত) |
১৯ম – ২৮তম দিন | কম (নিরাপদ) |
পুরুষের বীর্যের মধ্যে যে শুক্রানু থাকে তা মেয়েদের জরায়ুর ভিতরে পাচ দিন জীবিত থাকে। এই পাচ দিনে স্ত্রীর ডিম্বানু আপনার বীর্য দ্বারা নিষিক্ত হতে পারে যে কোনো সময়।
আপনার স্ত্রীর পিরিয়ড শেষ হওয়ার পরের দুই সপ্তাহ আপনি যদি জন্মনিরধোক ছাড়া মিলন করেন তবে বাচ্চা হওয়ার চান্স বেশি তবে এরপরেও বাচ্চা হওয়ার চান্স আছে।
সাধারনত পিরিয়ড থাকে ৭ দিন। মানে এক সপ্তাহ। এই সময়ে কনডম পরে সেক্স করা যায় কিন্তু অনেকেই বিভিন্ন ধর্মীয় অনুশাসনের কারনে সেই সময়ে মিলন করে না। (ধর্মীয় নিষেধ মেনে চলুন)
এরপরে পিরিয়ড শেষ হওয়ার দুই দিন পর থেকে, মানে মাসিকের ৯ম দিন থেকে পরবর্তী ২৭ তম দিন পর্যন্ত যে কোনো সময় মিলন করলেই বাচ্চা হতে পারে। এই সময় ডিম্বানু শুক্রানুর জন্য বসে থাকে।
যদি শুক্রানু পেয়ে যায় তবে বাচ্চা হবে কিন্তু না পেলে ২৮ থেকে ৩০ তম দিন পর্যন্ত ডিম্বানু যেটা শুক্রানু পায় না সেটা নষ্ট হতে থাকে এবং এক সময় পরবর্তী মাসিকের ১ম দিন থেকে ৭ম দিন পর্যন্ত অনবরত জরায়ু থেকে রক্ত যেতে থাকে, যার মধ্যে থাকে সেই নিষিক্ত না হওয়া ডিম্বানু।
মহিলাদের প্রতি মাসেই ডিম্বানু জমা হয়। পুরুষের বীর্য বা শুক্রানু না পেলে সেই ডিম্বানুই রক্তের মতো জরায়ু দিয়ে বেরিয়ে যায়, যেটাকে মাসিক বা পিরিয়ড বলা হয়।
১. মাসিকের নির্দিষ্ট সময় মিলন করলে যে বাচ্চা হবে না এমন কোনো কথা নেই।
২. বাচ্চা না চাইলে কনডম দিয়ে মিলন করা ছাড়া অন্য কোনো নিশ্চিত নিরাপদ পদ্ধতি নাই।
৩. বাচ্চা হওয়ার চান্স বেশি যদি মাসিক শেষ হওয়ার পরবর্তী দুই সপ্তাহের মধ্যে মিলন করেন তখন।
গুরুত্বপূর্ণ কথা
কোনো সময়ই ১০০% নিশ্চিতভাবে বলা যায় না যে বাচ্চা হবেই না। মাসিক চক্র অনিয়মিত হলে বা হরমোনের পরিবর্তন হলে এই হিসাব ভুল হতে পারে।
গর্ভধারণ গর্ভনিরোধক বা অন্য কোনো নির্ভরযোগ্য পদ্ধতি ব্যবহার করা সবচেয়ে নিরাপদ। “ক্যালেন্ডার পদ্ধতি” (মাসিকের সময় গণনা করে মিলন) খুব একটা নির্ভরযোগ্য নয়। সঠিক পরামর্শের জন্য গাইনোকোলজিস্ট বা ডাক্তারের সাথে কথা বলা উচিত।