ছেলেদের দাড়ি ছাড়া কেমন জানি দেখতে হয় তবে, সবার এক সময়ে দাড়ি উঠে না। দ্রুত দাড়ি গজানোর উপায় ও কিছু টিপস অনুসরন করে জেনে নিন। পর্দা যেমন নারীদের ভূষণ তেমনি দাড়ি হলো পুরুষের প্রাথমিক পরিচয়।
দাড়ি আল্লাহর দান, বেশ কিছু ঘরোয়া উপায় আছে যেগুলো ঘন দাঁড়ি গজাতে সাহায্য করে কোনো পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ছাড়াই। আজকে জানতে পারবেন দ্রুত দাড়ি গজানোর প্রাকৃতিক উপায় এবং দাড়ি গজানোর জন্য কি কি তেল রয়েছে তার সম্পর্কে।
দ্রুত দাড়ি গজানোর উপায়
কিছু বিশেষ পদ্ধতি অনুসরণ করলে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই দাড়ি গজাবে। নিচের টিপসগুলো দাড়ি গজানোর জন্য খুবই কার্যকরী উপায়:
১. আমলকীর তেল দ্রুত দাড়ি গজাতে সাহায্য করে। ১৫ থেকে ২০ মিনিট আমলকীর তেল দিয়ে মুখ ম্যাসাজ করুন। এরপর ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
২. দিনে দুবার ফেস ওয়াশ দিয়ে মুখ পরিষ্কার রাখতে হবে। মুখ ধোয়ার সময় হালকা গরম পানি ব্যবহার করুন। পরিষ্কার ত্বক দাড়ির বৃদ্ধিকে বাড়িয়ে দেবে।
৩. ইউক্যালিপটাস দাড়ি বড় করতে সাহায্য করে। ইউক্যালিপটাস সমৃদ্ধ ময়েশ্চারাইজার দিয়ে ত্বক ম্যাসাজ করুন। বাজারে এটি কিনতে পাওয়া যায়
৪. দাড়ি ভালোভাবে এবং দ্রুত গজানোর জন্য কিন্তু ভালোভাবে ঘুম হওয়া জরুরি। এটি ক্ষতিগ্রস্ত কোষকে পুনর্গঠনে সাহায্য করে। তাই অন্তত ৮-৯ঘণ্টা ঘুমান।
৫. পেঁয়াজের রস মুখের ওপর লাগালে দাড়ি গজাতে সাহায্য করে। পেঁয়াজের মধ্যে থাকা সালফার এই কাজ করে থাকে। এছাড়াও সালফার আপনার দাড়িকে মজবুত করতে সাহায্য করে।
৬. বিক্ষিপ্তভাবে কোঁকড়ানো দাড়ি থাকলে, তা কেটে ফেলুন। এগুলো সুষমভাবে দাড়ি বৃদ্ধিতে সমস্যা তৈরি করে। দাড়ি কাটলে সেটি মোটা হয়ে আবার বৃদ্ধি পায়, ফলে আর কোঁকড়ায় না।
৭. খাদ্য তালিকায় নিয়মিত ভিটামিন ও মিনারেলযুক্ত ফল এবং শাকসবজি রাখুন। ভিটামিন বি কমপ্লেক্স দাড়ি বাড়ানোয় সাহায্য করে। চিকিৎসকের পরামর্শমতো নানা ধরনের হেলথ সাপ্লিমেন্ট ও ভিটামিন খেয়েও দাড়ির বৃদ্ধি বাড়ানো যায়।
৮. স্ট্রেস কমান। শুনতে আশ্চর্য লাগলেও বিজ্ঞানীরা বলছেন, চাপ কমলে বা রিল্যাক্সড থাকলে দাঁড়ি গজায় তাড়াতাড়ি।
৯. শরীরচর্চা করুন। তার ফলে মুখমণ্ডলে রক্ত-সঞ্চালন বাড়ে, যা দাড়ি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
১০. বাজারে বিভিন্ন ধরনের দাড়ি গজানোর তেল পাওয়া যায় সেগুলো ব্যাবহার করবেন না। প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী তেল ব্যাবহার করুন।
দাড়ি গজানোর উপায় ঔষধ
দাড়ি গজানোর উপায় ঔষধ কি আসলেই কাজ করে? সাধারণত বয়সন্ধিকালের বা বয়সন্ধিকালোত্তীর্ণ পুরুষলোকের দাড়ি গজায়। একজন পুরুষের প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার বয়স সাধারণত ১৩ থেকে ১৪ বছর। অর্থাৎ তখন তার শরীরে অনেক পরিবর্তন ঘটে, যার একটি হচ্ছে দাড়ি-গোঁফ ওঠা। এখানে পুরুষ হরমোন টেস্টস্টেরনের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ । এ সময়ে মুখমন্ডলের লোমকূপে ডিহাইড্রোটেস্টোস্টেরন এর উদ্দীপনার কারণে দাড়ি গজায়। ডিহাইড্রোটেস্টোস্টেরন টেস্টোস্টেরন হতে নিঃসৃত হয়, যার মাত্রা বিভিন্ন ঋতুতে বিভিন্ন হয়।
ফলে গ্রীষ্মকালে দাড়ি দ্রুত বাড়ে। এই টেস্টোস্টেরন হরমোন সমস্যার কারণে অনেকের প্রকৃত বয়সের পরে দাড়ি গোফ গজায়। তবে বহু ক্ষেত্রেই দেখা যায়, পারিবারিক বা জন্মগত কারণেও দাড়ি-গোঁফ কারো কারো কম বা দেরিতে ওঠে। তাই চিকিৎসক কর্তৃক শারীরিক পূর্ণাঙ্গ পরীক্ষার পর নিশ্চিত হতে হবে, আসলে হরমোন সমস্যার কারণে এমনটি হচ্ছে কি না। হরমোন সমস্যার কারণে হলে তার চিকিৎসা সম্ভব।
দাড়ি গজানোর ঔষধ:
১. বেয়ার্ড ওয়েল
২. মিনোক্সিডিল