প্রতিদিন সকালে ডিম খাওয়ার উপকারিতা অনেক। সিদ্ধ ডিম প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুণে ভরপুর। সিদ্ধ ডিম উচ্চ-মানের প্রোটিনের একটি চমৎকার উৎস, যা শরীরের টিস্যু তৈরি ও মেরামতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাছাড়া এটিতে ভিটামিন বি ১২, ভিটামিন ডি, ভিটামিন এ, রিবোফ্লাভিন এবং সেলেনিয়াম সহ প্রয়োজনীয় ভিটামিন এবং খনিজ সরবরাহ করে।
কাঁচা একেবারেই খাবেন না, আধসেদ্ধ খাওয়ার ইচ্ছা হলে শুধুমাত্র পাস্তুরাইজড ডিম ব্যবহার করবেন। কারণ ডিমের কুসুমে সালমোনেলা নামক একধরণের ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতির সম্ভাবনা থাকে। ডিমের অমলেট বা পোচও খেতে পারেন, তবে তেলেভাজা কোনোকিছুই তেমন স্বাস্থ্যকর নয়।
সকালে ডিম খাওয়ার উপকারিতা
ডিম খুবই স্বাস্থ্যকর এবং প্রোটিনে ভরপুর। অ্যামাইনো অ্যাসিডের উপস্থিতি একে প্রোটিনের সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর উৎস করে তোলে। তাছাড়া এটি সেলেনিয়াম, ভিটামিন ডি, বি ৬, বি ১২, জিঙ্ক, আয়রন ইত্যাদি খনিজসমৃদ্ধ। লুটিন এবং জেক্সানথিনের মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের উপস্থিতি দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে, ম্যাকুলার অবক্ষয় এবং ছানি ছত্রাককে প্রতিরোধ করতে পারে ডিম। ডিমে থাকে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, যা হার্ট ভালো রাখতে সাহায্য করে।
কম ক্যালোরি
সিদ্ধ ডিমে তুলনামূলকভাবে কম ক্যালোরি থাকে। যাদের ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে চায় তাদের জন্য এটি একটি উপযুক্ত বিকল্প করে তোলে। একটি বড় সিদ্ধ ডিমে প্রায় ৭৮ ক্যালোরি থাকে, যা এটিকে একটি ভরাট এবং সন্তোষজনক খাবারের উপাদান করে তোলে।
উচ্চ-মানের প্রোটিন
ডিম একটি সম্পূর্ণ প্রোটিন উৎস হিসাবে বিবেচিত। যার অর্থ যাদের শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত অ্যামিনো অ্যাসিড ধারণ করে। এটি তাদের নিরামিষাশী এবং নিরামিষাশীদের জন্য একটি চমৎকার খাবার করে তোলে। উদ্ভিদ-ভিত্তিক উৎস থেকে এই অ্যামিনো অ্যাসিডের পর্যাপ্ত পরিমাণে সংগ্রহ করতে পারে।
ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ
সিদ্ধ ডিমের মতো প্রোটিন-সমৃদ্ধ খাবার ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। যাদের পূর্ণতার অনুভূতি প্রচার করে, খাবারের মধ্যে অতিরিক্ত খাওয়া এবং স্ন্যাকিংয়ের সম্ভাবনা হ্রাস করে।
কোলিন উপাদান: ডিম হল কোলিনের একটি ভাল উৎস, এটি মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য এবং বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
ওটস অমলেট টিপস
ডিমসেদ্ধ থেকে স্বাদবদলের জন্য আরেকটি খাবার হলো ওটস অমলেট। একটি ছোটো বাটিতে দু’চামচ ওটস নিন। এর মধ্যে সামান্য দুধ দিন যাতে ওটসটা পুরোপুরি ভিজে যায়। দশমিনিট এভাবে রাখুন। আরেকটি বাটিতে একটি ডিম ফেটিয়ে নিন। এর মধ্যে স্বাদমতো নুন ও সামান্য গোলমরিচের গুঁড়ো মেশান। এবার এতে পেঁয়াজকুচি, লঙ্কাকুচি, মিহি করে কুচানো ক্যাপসিকাম ও গাজর, টম্যাটো কুচি, সামান্য ধনেপাতা যোগ করুন। এর মধ্যে দুধে ভেজানো ওটসটা ভালো করে মেশান। সাথে সামান্য হলুদগুঁড়ো, জিরেগুঁড়ো আর গরম মশলা গুঁড়োও মিশিয়ে নিন।
এবার একটি ননস্টিক প্যানে সামান্য অলিভ অয়েল দিন। তেল গরম হলে এলে ডিমের মিশ্রণটি এর মধ্যে ঢেলে দিয়ে ওপরে ঢাকনা চাপা রাখুন, আঁচ একদম কমিয়ে দেবেন। তিনচারমিনিট এভাবে রান্না করুন। একপিঠ হয়ে গেলে উল্টে দেবেন, দু’একমিনিট এভাবে রাখুন। তৈরি হয়ে গেলো ওটস অমলেট।
[…] আরও পড়ুনঃ সকালে প্রতিদিন ডিম খাওয়ার উপকারিতা […]
[…] সেদ্ধ করা ডালগুলো দিন। এরপর চাট মসলা, ডিম সেদ্ধ, বানিয়ে রাখা তেঁতুলের টকের অর্ধেকটা ও […]
[…] আরও পড়ুনঃ সকালে প্রতিদিন ডিম খাওয়ার উপকারিতা […]