জিংক সিরাপ এর উপকারিতা: জিংক শরীরে দস্তা বা জিঙ্কের ঘাটতি, শারীরিক বৃদ্ধি ও বিকাশ, শিশুদের মধ্যে তীব্র ডায়রিয়া, এবং শরীরে ক্ষত নিরাময় ধীর হওয়ার মতো রোগগুলিকে নিয়ন্ত্রণ, প্রতিরোধ এবং চিকিৎসার জন্য ব্যবহার করা হয়। ওষুধটি ইমিউন সিস্টেম বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাড়িয়ে তুলতে এবং শ্বাসযন্ত্রের নিচের এলাকায় সংক্রমণ প্রতিরোধে সহায়তা করার জন্যও এটি ব্যবহার করা যেতে পারে।
আপনার চিকিৎসক যদি আপনাকে নির্দেশ করে তাহলে, জিংক মনোযোগ ঘাটতি-হাইপারঅ্যাক্টিভিটি ডিসঅর্ডার, হাইপোগিউসিয়া, টিনাইটাস, ক্রোহন রোগ, আল্জ্হেইমার রোগ, ডাউন সিন্ড্রোম, হানসেন রোগ, পেপটিক আলসার, পুরুষত্বহীনতা, অঙ্গ দোষ, অস্টিওপোরোসিস, রিউমাটয়েড, আর্থ্রাইটিস, এবং পেশী খিঁচুনির চিকিৎসায় ব্যবহার করা যেতে পারে।
জিংক সিরাপ এর উপকারিতা
জিংক অনেক বায়োলজিক্যাল ফাংশন যেমন-রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি, ক্ষত সারানো, পরিপাক, প্রজনন, শারীরিক বৃদ্ধি এবং মানসিক বিকাশের জন্য অপরিহার্য। জিংক গর্ভাবস্থায়, শৈশব এবং কৈশোরে স্বাভাবিক বৃদ্ধি এবং গঠনে সহায়তা করে। জিংক এর কিছু এন্টিঅক্সিডেন্ট ক্ষমতাও রয়েছে। শিশুদের এডিএইচডি (এটেনশন ডেফিসিট হাইপার-অ্যাকটিভিটি ডিসঅর্ডার) চিকিৎসায়ও জিংক ব্যবহৃত হয়। প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে জিংক এর অভাবে ক্ষুধামান্দ্য, স্বাদ এবং ঘ্রাণ গ্রহণের ক্ষমতা কমে যাওয়া, বিষণ্ণতার প্রবনতা, নখে সাদা দাগ, ঘন ঘন ইনফেকশন, দূর্বল প্রজনন ক্ষমতা, প্রস্টেট এর সমস্যা, মানসিক সমস্যা, দেরিতে ঘা শুকানো, দূর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, ডায়রিয়া, মানসিক দূর্বলতা, অমসৃন ত্বক ও ওজন হ্রাস হতে পারে।
আরও পড়ুনঃ সুস্বাস্থ্যের জন্য খাদ্য তালিকা ও দৈনিক রুটিন
বি-ভিটামিন খাদ্য থেকে শক্তি তৈরীতে প্রয়োজনীয়। শিশু ও বয়স্কদের সুস্থ মস্তিষ্ক ও স্নায়ুর সঠিক কার্যকারিতা বজায় রাখতে এবং সুগঠিত লোহিত রক্ত কণিকা তৈরীতে বি ভিটামিনগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বিশেষ করে শিশুর সঠিক বৃদ্ধি ও বিকাশে এটি বিশেষভাবে প্রয়োজনীয়। বি ভিটামিনের অভাবে প্রাপ্তবয়স্কদের গভীর অবসন্নতা এবং বিভিন্ন ধরনের স্নায়বিক সমস্যা যেমন- দূর্বলতা, ভারসাম্যহীনতা, দ্বিধাগ্রস্ততা, বিরক্তিভাব, স্মৃতিভ্রম, ভীতি, হাত-পা এ শির শির ভাব এবং সমন্বয়হীনতা দেখা দিতে পারে। এছাড়া বি-ভিটমিনের অভাবে নিদ্রা সমস্যা, বমি বমি ভাব, ক্ষুধামান্দ্য, ঘন ঘন ইনফেকশন এবং চর্মরোগ দেখা দেয়।
ঔষধের মিথষ্ক্রিয়া
টেট্রাসাইক্লিন গ্রুপের ওষুধ এবং জিংক একসাথে গ্রহণ করলে টেট্রাসাইক্লিন এর গ্যাস্ট্রোইন্টেসটিনাল শোষণ এবং সিরাম লেভেল কমে যেতে পারে। একই ভাবে জিংক এবং ফ্লুরোকুইনোলন গ্রুপের ওষুধ একত্রে গ্রহণ করলে কিছু কিছু ফ্লুরোকুইনোলন এর গ্যাস্ট্রোইন্টেসটিনাল শোষণ এবং সিরাম লেভেল কমে যেতে পারে। নিয়াসিন এবং এইচএমজি-কোএ রিডাকটেজ ইনহিবিটর (যেমনঃ লোভাসটাটিন) সাথে গ্রহণ করলে মায়োপ্যাথী এবং র্যাবডোমায়ালাইসিস হতে পারে। পাইরিডক্সিন পেরিফেরাল মেটাবলিজম বাড়ানোর মাধ্যমে লেভোডোপার কার্যকারিতা কমিয়ে দেয়। পাইরিডক্সিন এবং ফেনিটইন একত্রে গ্রহণ করলে ফেনিটইন এর সিরাম লেভেল কমে যেতে পারে।
সতর্কতাঃ ঔষধ ব্যবহারের পূর্বে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
[…] আরও পড়ুনঃ জিংক সিরাপ এর উপকারিতা জানুন! […]
[…] কুমড়ার বীজে ভালো মাত্রায় জিংক পাওয়া যায়। যা পুরুষের উর্বরতা বাড়ায় ও […]