কাঠবাদাম হচ্ছে পুষ্টির ‘পাওয়ার হাউস’ যা বিভিন্ন স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। কাঠবাদাম এর উপকারিতা জানলে আপনিও অবাক হবেন।
প্রতিদিন খাদ্যতালিকায় এই খাবারটি রাখা উচিত কারণ এটি দেহের ভিটামিন এবং প্রয়োজনীয় খনিজের দৈনিক চাহিদা পূরণ করতে পারে। এক মুঠো বাদাম, সারারাত ভিজিয়ে রেখে সঠিকভাবে খোসা ছাড়িয়ে সকালে খেলে শরীরের পুষ্টির চাহিদা ঠিক থাকে।
কাঠবাদাম এর উপকারিতা সমূহ
বাদাম অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কোষকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কাঠবাদাম অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের অন্যতম শক্তিশালী উত্স। এটি শরীরে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস বা শরীরে ফ্রি র্যাডিক্যালের পরিমাণ বেড়ে যাওয়া প্রতিরোধ, প্রদাহ কমায় এবং শরীরেকে বার্ধক্য থেকে রক্ষা করে।
কাঠবাদামে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই থাকে
ভিটামিন ই এমন একটি প্রয়োজনীয় ভিটামিন যা হৃত্পিণ্ডের কার্যকারিতায় সহায়তা করে। এই বাদাম আলঝেইমার রোগীদের জন্যও উপকারী বলে প্রমাণিত। প্রতিদিন ২৮ গ্রাম কাঠাবাদাম খেলে তা দৈনিক ভিটামিন ই’য়ের যে চাহিদা আছে তার প্রায় ৫০ শতাংশ পূরণ করে।
কাঠবাদাম ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ
কাঠবাদামে আরেকটি বিস্মকর পুষ্টি উপাদান ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে। অনেকেরই হয়তো জানা নেই, ম্যাগনেসিয়াম শরীরে ২০০ টিরও বেশি কাজ করে। একজন সুস্থ ব্যক্তির প্রতিদিন ৪২০ মিলিগ্রাম ম্যাগনেসিয়াম খাওয়া উচিত।
কাঠবাদাম ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে
২৮ গ্রাম কাঠবাদামে ৩ দশমিক ৫ গ্রাম ফাইবার থাকে। প্রতিদিন সকালে এক মুঠো কাঠবাদাম খেলে দীর্ঘ সময়ের জন্য শরীর ভরা অনুভূত হয়। এর ফলে ঘন ঘন খাওয়ার আগ্রহ কমে। কাঠবাদাম সারাদিনের ক্যালোরির পরিমাণ কমায় এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
কাঠবাদাম হৃত্পিণ্ডের জন্য ভালো
কাঠবাদামে উপস্থিত প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম হৃত্পিণ্ড সুস্থ রাখতে ভূমিকা রাখে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, কাঠবাদাম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। এই বাদামে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হৃত্পিণ্ডের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে এবং রক্তচাপ কমায়। এই বাদাম রক্তে শর্করার পরিমাণও নিয়ন্ত্রণ করে।