ইসকন কি? ইসকনের ৭ টি উদ্দেশ্য

আজকে আমি আপনাদের সাথে খুবই গুরুত্বপূর্ণ কিছু কথা শেয়ার করব। ইসকন কি? ইসকনের ৭ টি উদ্দেশ্য সম্পর্কে বিস্তারিত জানব। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক আজকের বিষয় সম্পর্কে।

ইসকন কি? 

আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ বা ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি ফর কৃষ্ণ কনশাসনেস (ইসকন) হলো গৌড়ীয় বৈষ্ণব মতবাদের অনুসারী একটি হিন্দু ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান। ১৯৬৬ সালে নিউ ইয়র্ক শহরে অভয়চরণারবিন্দ ভক্তিবেদান্ত স্বামী প্রভুপাদ এই সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করেন। ইসকনের মূল ধর্মবিশ্বাসটি শ্রীমদ্ভাগবত, ভগবদ্গীতা ও অন্যান্য বৈদিক শাস্ত্রসমূহের উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে। আধ্যাত্মিক সমাজে এটি ‘হরেকৃষ্ণ আন্দোলন’ নামেও ব্যাপক পরিচিত।

এর ভক্তরা দুগ্ধ-শাকাহারে বিশ্বাস করে এবং প্রাথমিকভাবে ভক্তি যোগ প্রচারের জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এই আন্দোলনের অনুসারীরা, যাদের ভক্ত নামে ডাকা হয়, তাদের চিন্তা ও কর্ম কৃষ্ণের প্রতি নিবেদন করে। কৃষ্ণকে তারা স্বয়ং সর্বোচ্চ ব্যক্তিত্ব হিসাবে সম্মান জানায়। এই আন্দোলন ভারতে সবচাইতে দ্রুত বৃদ্ধি লাভ করে এবং সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর রাশিয়া এবং পূর্ব ইউরোপের অন্যান্য প্রাক্তন সোভিয়েত-সংশ্লিষ্ট দেশগুলোতও এর প্রসার ঘটে।

১৯৭০-এর শেষভাগ থেকে শুরু করে ইসকন একাধিক অভ্যন্তরীণ সমস্যার মধ্য দিয়ে যায়, বিশেষভাবে যা প্রভুপাদের মৃত্যুপরবর্তী যুগে বেড়ে যায়। একাধিক কাল্ট-বিরোধী সংগঠন ইসকনকে বিভিন্ন সময়ে যাচাই করেছে। ১৯৯০-এর দশকে ইসকন শিশু নির্যাতনের অভিযোগে অভিযুক্ত হয় এবং এর কিছু নেতারা যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের বোর্ডিং স্কুলে পাঠানো শিশুদের শারীরিক, মানসিক এবং যৌন হয়রানি করার অভিযোগ স্বীকার করেন।

আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ (ইসকন) সাধারন হিন্দুদের প্রতিনিধিত্ব করেনা ও উগ্রবাদী হওয়ায় সিঙ্গাপুরে দেশ গঠনের শুরুতেই ইসকনকে নিষিদ্ধ করা হয়। ইসকন এখনো সিঙ্গাপুরে নিষিদ্ধ অবস্থায় আছে। এছাড়া ইসকন চীন, মালয়েশিয়া, সৌদি আরব, আফগানিস্তান ও ইন্দোনেশিয়ায় নিষিদ্ধ। তাজিকিস্তান, উজবেকিস্তান, কাজাখস্তান এবং তুর্কমেনিস্তানে ইসকনের কার্যক্রমের ওপর কঠোর নজরদারি জারি রয়েছে।

আরও পড়ুন  বড়দের রোমান্টিক গল্প pdf বই ডাউনলোড

ইসকনের ৭ টি উদ্দেশ্য

স্বাভাবিকভাবে ইসকনের কর্মকাণ্ড শুধু নাচ মনে হলেও আদৌ তা নয়। ইসকনের কয়েকটি কাজ নিম্নরূপ-

১) বাংলাদেশে সনাতন মন্দিরগুলো দখল করা এবং সনাতনদের মেরে পিটিয়ে তাড়িয়ে দেয়া। যেমন স্বামীবাগের মন্দিরটি আগে সনাতনদের ছিলো, পরে ইসকনরা কেড়ে আগেরদের ভাগিয়ে দেয়। এছাড়া পঞ্চগড়েও সনাতনদের পিটিয়ে এলাকাছাড়া করে ইসকনরা। ঠাকুরগাও-এ সনাতন হিন্দুকে হত্যা করে মন্দির দখল করে ইসকন। এছাড়া অতিসম্প্রতি সিলেটের জগন্নাথপুরে সনাতনদের রথযাত্রায় হামলা চালিয়েছে ইসকন নেতা মিণ্টু ধর।

২) বাংলাদেশের মসজিদগুলোতে সাম্প্রদায়িক হামলা করা। কিছুদিন আগে ঢাকাস্থ স্বামীবাগে মসজিদের তারাবীর নামাজ বন্ধ করে দিয়েছিলো ইসকন। নামজের সময় ইসকনের গান-বাজনা বন্ধ রাখতে বলায় তারা পুলিশ ডেকে এনে তারাবীর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। পরে বিষয়টি নিয়ে সংঘর্ষ হয়। এবার হলো সিলেটে।

৩) বাংলাদেশে বিভিন্ন সাম্প্রদায়িক সংগঠন তৈরী করে, উগ্রহিন্দুত্ববাদের বিস্তৃতি ঘটানো। যেমন- জাতীয় হিন্দু মহাজোট, জাগো হিন্দু, বেদান্ত, ইত্যাদি। বর্তমান অনলাইন জগতে যে ধর্ম অবমাননা তার ৯০% করে ইসকন সদস্যরা।

৪) বাংলাদেশে সম্প্রতিক সময়ে চাকুরীতে প্রচুর হিন্দু প্রবেশের অন্যতম কারণ-ইসকন হিন্দুদের প্রবেশ করানোর জন্য প্রচুর ইনভেস্ট করে।

৫) সিলেটে রাগীব রাবেয়া মেডিকলে কলেজের ইস্যুর পেছনে রয়েছে ইসকন। ইসকন আড়াল থেকে পুরো ঘটনা পরিচালনা করে এবং পঙ্কজগুপ্তকে ফের লেলিয়ে দেয়। এখন পঙ্কজগুপ্ত জমি পাওয়ার পর সেই জমি নিজেদের দখলে নিতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে বিচারবিভাগে ইসকনের প্রভাব মারাত্মক বৃদ্ধি পাওয়ার অন্যতম কারণ খোদ প্রধানবিচারপতিও একজন ইসকন সদস্য।

Tags:

We will be happy to hear your thoughts

Leave a reply

Amar Sikkha
Logo