ইমার্জেন্সি পিল খাওয়ার নিয়ম ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

বর্তমান সমাজে অনেকেই ইমার্জেন্সি পিল খাওয়ার নিয়ম না জেনেই খেয়ে নেয়, অথচ এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে অভিহিত না হয়ে  খাওয়াই উচিত নয়। ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া যেমন ঔষধ খাওয়া উচিত নয় তেমনি প্রয়জনের তুলোনায় বা নিয়ম না জেনে কোনো প্রকার ঔষধ খাওয়া একেবারেই উচিত নয়।

বর্তমানে জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল আমাদের সমাজে বেশিরভাগ মানুষ ব্যবহার করছে কিন্তু তারা কি এটি খাওয়ার আসল নিয়ম জানে? বা কখন , কিভাবে খেতে হবে সেটি জানে? আমার মনে হয় ৮০ শতাংশ মানুষ জানে না।

ইমার্জেন্সি পিল খাওয়ার নিয়ম

ইমার্জেন্সি পিল দুই রকমের হয়ে থাক। এখান থেকে দুই রকমের পিল খাওয়ার সঠিক নিয়ম জানতে পারবেন। নিচে থেকে জেনে নিন-

খাবার বড়ি ( সুখী, ফেমিকন ইত্যাদি) 

১। সাধারণত মাসিকের প্রথম দিন থেকে খাবার বড়ি শুরু করতে হয়।

২। প্রথমে ২১টি সাদা বড়ি ও পরে ৭টি আয়রন ট্যাবলেট খেতে হয়।

৩। মোট ২৮টি বড়ি শেষ হলে অন্য পাতা থেকে শুরু করতে হয় ।

৪। প্রতিদিন রাতে খাবারের পর শোবার আগে বড়ি খাওয়ার উপযুক্ত সময়।

৫। একদিন কোনো কারণে বড়ি খেতে ভুলে গেলে পরদিন যখনই মনে পড়বে তখনই বড়ি খেতে হবে এবং নির্ধারিত সময়ে ওই দিনের বড়িটিও খেতে হবে;

৬। পর পর দু’দিন বড়ি খেতে ভুলে গেলে পরের দু’দিন দু’টি করে বড়ি খেতে হবে এবং এই বড়ির পাতা শেষ না হওয়া পর্যন্ত বড়ির সাথে অন্য একটি পদ্ধতি যেমন ক/নডম ব্যবহার করতে হবে।

খাবার বড়ির সুবিধাসমূহ

১। এটি একটি কার্যকর পদ্ধতি এবং সাফল্যের হার শতকরা ৯৭-৯৯ ভাগ।

২। যে কোনো সময়ে এ পদ্ধতি পরিবর্তন করে অন্য পদ্ধতি ব্যবহার করা যায়।

৩। আয়রণ বড়ি সেবনে রক্তস্বল্পতা হ্রাস পায়।

৪। সহজলভ্য এবং ব্যবহার-পদ্ধতি সহজ।

৫। মাসিক স্রাব নিয়মিত করে।

আরও পড়ুন  হস্ত মৈথুনের ক্ষতিকর দিক ও বাঁচার উপায়

খাবার বড়ির অসুবিধাসমূহ

১। প্রতিদিন নিয়মিত খেতে হয় বলে ঝামেলা মনে হয়।

২। যো/নিপথের পিচ্ছিলতা কমে যেতে পারে।

৩। মাসিকের পরিমাণ কম হয় বলে অনেক মহিলা এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভোগেন।

৪। বুকের দুধ কমে যেতে পারে।।

ইমার্জেন্সি কন্ট্রাসেপটিভ পিল (ECP)

ইমার্জেন্সি কন্ট্রাসেপটিভ পিল হলো এক ধরনের জন্মনিরোধক খাবার বড়ি যা মহিলারা অনিরাপদ (কোনো পদ্ধতি ছাড়া) সহ বাসের পর ব্যবহার করলে গর্ভে অপরিকল্পিত সন্তান আসার সম্ভাবনা প্রায় থাকে না।

• ইসিপি পরিবার পরিকল্পনার কোনো নিয়মিত পদ্ধতি নয়। এটি শুধুমাত্র জরুরী প্রয়োজনে ব্যবহার করা যায়

• ইসিপি গর্ভে সন্তান আসা প্রতিরোধ করে। তবে তা কখনও গর্ভপাত ঘটাতে সাহায্য করে না।

ইমার্জেন্সি কন্ট্রাসেপটিভ পিল খাওয়ার নিয়ম 

১। ইসিপি দুই ডোজে খেতে হয়।

২।  প্রথম ডোজ অনিরাপদ সহ বাসের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে খেতে হবে।

৩। তবে সহ বাসের পর যত তাড়াতাড়ি বড়ি খাওয়া যায় বড়ির কার্যকারিতা ততই বেশি হয়।

৪। দ্বিতীয় ডোজ প্রথম ডোজের ১২ ঘন্টা পর খেতে হবে।

৫। কিছু খাওয়ার পরপরই ইসিপি খেতে হয় ।

৬। প্রথম ডোজ এমন সময় খেতে হবে যাতে ঠিক ১২ ঘণ্টা পর দ্বিতীয় ডোজ খেতে কোনো অসুবিধা না হয় (অর্থাৎ ঘুমের সময়ে না পড়ে)

৭। ইসিপির প্রথম ডোজ খাওয়ার ২ ঘন্টার মধ্যে বমি হলে ঐ ডোজটি পুনরায় খেতে হবে।

৮। দ্বিতীয় ডোজের ১ ঘণ্টা আগে বমি প্রতিরোধক ওষুধ খাওয়া যেতে পারে।

ইমার্জেন্সি পিল খাওয়ার পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া 

খাবার বড়ির যে সমস্ত পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া আছে ইসিপি গ্রহণেও সেগুলো হতে পারে। তবে অধিকাংশ মহিলার মধ্যেই কোনো পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া দেখা যায় না। ইসিপি যেহেতু জরুরি সময়ে ব্যবহার করা হয়ে থাকে তাই পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া হলেও তা স্বল্প সময়ের জন্য হয়। কোনো কোনো সময় ইসিপি ব্যবহারে স্বল্পস্থায়ী পার্শ্ব- প্রতিক্রিয়া যেমন বমি বমি ভাব, বমি, মাথা ব্যথা, মাথা ঝিম ঝিম করা, অবসন্নতা এবং স্ত/নে ব্যথা হতে পারে। কারো কারো মাসিকের অসুবিধাও দেখা দিতে পারে।

আরও পড়ুন  সহজেই থাইরয়েড কমানোর উপায় জানুন!

১। নোরিক্স ইমার্জেন্সি পিল খাওয়ার নিয়ম কি? 

উত্তরঃ ইমার্জেন্সি কন্ট্রাসেপটিভ পিল খাওয়ার নিয়ম এটি আসলে নোরিক্স পিলের নিয়ম।

 

We will be happy to hear your thoughts

Leave a reply

Amar Sikkha
Logo