রমজানের পর আশুরার রোজা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মহানবি (সা) আশুরার ২টি রোজা করতে বলেছেন। আশুরার রোজার ফজিলত না থাকলে রাসুল (সা) রোজা রাখতে বলতেন না। আজকে আমরা আশুরার রোজার নিয়ত ও এই রোজা কেন করব তা নিয়ে বিস্তারিত জানাবো। চলুন তাহলে আজকের পোস্ট শুরু করা যাক।
আশুরার রোজার নিয়ত
আশুরার রোজার নিয়ত মনে মনে করলেই হবে অর্থাৎ শুধু মনে মনে নিয়ত করবেন।
আশুরার রোজার প্রচলন ইসলাম আগমনের আগে জাহেলি সমাজেও প্রচলিত ছিল। আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত হয়েছে, ‘জাহেলি যুগের লোকেরা আশুরার রোজা বা সাওম পালন করত’ (তুহফাতুল আশরাফ: ১২৭৩৬)। আশুরার রোজার এত ফজিলত যে, বান্দার এক বছরের গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হয়। রাসুলুল্লাহ (স.) বলেন, ‘আশুরার দিনের সাওমের ব্যাপারে আমি আল্লাহর কাছে আশা করি, তিনি পূর্ববর্তী এক বছরের পাপ ক্ষমা করে দেবেন।’ (সহিহ মুসলিম: ১৯৭৬)
আরও পড়ুন: আশুরার দিনের ফজিলত ও করণীয়
আশুরার রোজা কিভাবে রাখবেন?
ইমাম শাফেয়ি, ইমাম আহমদ, ইমাম ইসহাক প্রমুখ বলেছেন, আশুরার রোজার ক্ষেত্রে দশম ও নবম উভয় দিনের রোজাই মোস্তাহাব। কেননা নবী (স.) ১০ তারিখ রোজা রেখেছেন আর ৯ তারিখ রোজা রাখার নিয়ত করেছেন।
আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বর্ণনা করেন, ‘যখন রাসুলুল্লাহ (স.) আশুরার রোজা রাখলেন এবং (অন্যদের) রোজা রাখার নির্দেশ দিলেন, লোকেরা বলল- হে আল্লাহর রাসুল, এটি তো এমন দিন, যাকে ইহুদি ও খ্রিস্টানরা বড় জ্ঞান করে, সম্মান জানায়। তখন রাসুলুল্লাহ (স.) বললেন, আগামী বছর এই দিন এলে আমরা নবম দিনও রোজা রাখব ইনশাআল্লাহ।’ (সহিহ মুসলিম: ১৯৪৬)
মহররম মাসের নফল রোজা কয়টি?
আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (স.) বলেন, ‘রমজানের পর সর্বোত্তম সাওম হচ্ছে আল্লাহর মাস মহররম (মাসের সাওম)।’ (সহিহ মুসলিম: ১৯৮২)
আল্লামা মোল্লা আলী কারি (রহ.) বলেন, হাদিসের বাহ্যিক শব্দমালা থেকে পূর্ণ মাসের সাওম বুঝে আসে। তবে নবী (স.) রমজান ছাড়া আর কোনো মাসে পূর্ণমাস সাওম পালন করেননি, এটি প্রমাণিত। তাই হাদিসকে এই মাসে বেশি পরিমাণে রোজা পালন করার ব্যাপারে উৎসাহ দেওয়া হয়েছে বলে ধরা হবে।