অফিসিয়াল মোবাইল চেক করার সবচেয়ে সহজ উপায় হলো বিটিআরসি মোবাইল চেক অর্থাৎ মোবাইল ফোনে যে কোন ১টি সচল সিম কার্ড ব্যবহার করে ফোনের মেসেজ অপশনে গিয়ে ইংরেজি বড় অক্ষরে KYD টাইপ করে ১টি স্পেস দিয়ে মোবাইল ফোন সেটের ১৫ ডিজিটের ইএমইআই (IMEI) নম্বরটি লিখে, এরপর সেটা ১৬০০২ নম্বরে পাঠাতে হবে। ফিরতি মেসেজে মোবাইল হ্যান্ডসেট অফিসিয়াল নাকি আনঅফিসিয়াল জানতে পারবেন। এছাড়াও মোবাইলের আসল নকল সহজে জানতে পারবেন নিচের পদ্ধতিতে-
অফিসিয়াল মোবাইল চেক করার নিয়ম
1. ব্র্যান্ডিং ও লোগো চেক করুন
আসল ফোনের লোগো সাধারণত পরিষ্কার ও সঠিকভাবে প্রিন্ট করা থাকে। কপি ফোনে লোগো একটু গা blurred বা ভুলভাবে প্রিন্ট করা হতে পারে। ফোনের নাম বা ব্র্যান্ডের স্টিকার/লোগো পরখ করুন, কারণ কপিতে এগুলি অনেক সময় সামান্য বিভ্রান্তিকর হতে পারে।
2. বক্সের মধ্যে উপকরণ
আসল ফোনের বাক্সে সাধারণত ভালো মানের প্যাকেজিং থাকে এবং ফোনের সঙ্গে প্রয়োজনীয় এক্সেসরিজ (চার্জার, কেবল, হেডফোন ইত্যাদি) দেওয়া হয়। কপি ফোনের প্যাকেজিং অনেক সময় খারাপ বা অসম্পূর্ণ হতে পারে।
3. ফোনের ওয়েবসাইট চেক করুন
ফোনের আসল মডেল সম্পর্কে অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে তথ্য সংগ্রহ করুন এবং নিশ্চিত করুন আপনার ফোন সেই মডেলের সঙ্গে মিলে কি না।
4. ফোনের পারফর্মেন্স
আসল ফোনের পারফর্মেন্স কপি ফোনের চেয়ে অনেক ভালো। কপি ফোনের ক্যামেরা, ডিসপ্লে, প্রসেসর ইত্যাদির গুণগত মান কম থাকে। ফোনের রেসপন্স টাইম বা অ্যাপ লোডিং গতি চেক করুন। কপি ফোনে সাধারণত স্লো পারফরম্যান্স হয়।
5. ফোনের সিস্টেম ইনফরমেশন
ফোনের সেটিংসে গিয়ে ‘About Phone’ বা ‘Device Information’ দেখুন। আসল ফোনে সেখানে সব তথ্য সঠিকভাবে দেখাবে, কিন্তু কপি ফোনে কিছু তথ্য মিথ্যা হতে পারে বা ভুল প্রদর্শিত হতে পারে।
6. IMEI নম্বর চেক করুন
ফোনের IMEI নম্বর চেক করুন (ডায়াল প্যাডে *#06# ডায়াল করলে IMEI নম্বর দেখা যাবে)। তারপর এই IMEI নম্বরটি মোবাইল অপারেটরের সাইট বা অন্যান্য চেকিং সাইটে যাচাই করুন, যেন নিশ্চিত হওয়া যায় এটি আসল ফোন।
7. বাজার মূল্য ও বিক্রেতা
আসল ফোনের দাম সাধারণত কপি ফোনের তুলনায় বেশি হয়। যদি আপনি এমন কোনো ফোন দেখেন যেটি অত্যন্ত সস্তা, তাহলে এটি কপি হতে পারে।
8. ডিসপ্লে ও টাচ স্ক্রিন
আসল ফোনের ডিসপ্লে সাধারণত অধিক স্পর্শশীল এবং সুস্পষ্ট থাকে, যেখানে কপি ফোনে ডিসপ্লে অনেক সময় কিছুটা ম্লান বা সস্তা হতে পারে।